মাগুরা প্রতিনিধিঃ  মাগুরা সদর উপজেলার বেরইল পলিতা গ্রামে বন্ধুর জিমেইল ব্যবহার করে গেম খেলায় কথাকাটির এক পর্যায়ে ছুরিকাঘাতে মৃত্যু হয়েছে রসুল (১৬) নামে এক তরুণের। সে বেরইল-পলিতা গ্রামের উত্তর পাড়ার রওনক কাজীর ছেলে। তার পিতা পলিতা বাজারের একজন ব্যবসায়ী। অপরদিকে ঘাতক সজিবও একই এলাকার দক্ষিণ পাড়ার শহিদুল ইসলামের ছেলে বলে জানা গেছে।

নিহত গোলাম রসূল বেরইল আলহাজ্ব কাজী আবদুল ওয়াহেদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং ঘাতক সজিব গঙ্গারামপুর পিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল শাখার শিক্ষার্থী বলে জানা যায়।

সহপাঠি ও এলাকাবাসি জানায়, মাগুরা সদর উপজেলার বেরইল পলিতা গ্রামের উত্তর পাড়ার রওনক কাজীর ছেলে রসূল তারই বন্ধু একই গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার শহিদুল ইসলামের ছেলে সজিবের ইমেইল একাউন্ট ব্যবহার করে নিজের মোবাইলে গেম খেলতো। বিষয়টি জানতে পেরে সজিব রসুলকে তার আইডি ব্যবহার করে গেম খেলতে নিষেধ করে। রসুল গেম খেলা বন্ধ না করলে ঘটনার দিন (২৭ জুলাই) মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে সজিব রসুলকে ডেকে নিয়ে শুনতে গেলে কথা কাটাকটির এক পর্যায়ে সজিবের কাছে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে রসূলকে বুকে আঘাত করলে মারাত্মক জখম হয়।স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার করে মাগুরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত ১০টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বুকে মারাত্মক ছুরিকাঘাতে অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরনের কারনে তার মৃত্যু হয় বলে জানান।

এ বিষয়ে বেরইল-পলিতা ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান খন্দকার মহব্বত আলী এই প্রতিবেদক কে মুঠোফোনে জানান, দুই বন্ধু সজিব ও রসুলের মধ্যে মোবাইলে ফ্রী ফায়ার গেম খেলাকে কেন্দ্র করে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে একজন অপরজনকে ছুরি দিয়ে আঘাত করলে রসুলের মৃত্যু হয়। তারা দুজনেই তার গ্রামের ছেলে।নিছক এই ঘটনা অত্যন্ত হৃদয় বিদারক। এ সময় তিনি বলেন, মোবাইলে এই ফ্রী ফায়ার ও পাবজি গেম খেলে তরুণ প্রজন্ম ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এই খেলা কে কেন্দ্র করে আমার এলাকার একটি তরুণ যুবক খুন হলো।আরো ভয়াবহতা এড়াতে এই খেলা বন্ধ করে দেওয়া উচিত বলে মনে করি।আমি নিহতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।

এ ঘটনায় শত্রুজিতপুর পুলিশ ফাঁড়ির তদন্ত কর্মকর্তা গৌতম কুমার ঠাকুর বলেন,আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করি। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘাতক সজিবকে আটকের চেষ্টা চলছে।তাছাড়া এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আর কোন বিশৃংখলা যেন না ঘটে এজন্য এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।